মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৯ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:: ধানক্ষেতে আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করেছে দূর্বৃত্তরা। এতে এক কৃষকের ২ একর ৩৩ শতক জমির ধানক্ষেত বিষাক্ত কিটনাশক প্রয়োগে এখন নষ্ট হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া মশালডাঙ্গী বিলে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জমির মালিক হরিপুর উপজেলার উত্তর সোনামতি গ্রামের সাইফুদ্দীনের ছেলে মতিউর রহমান। তিনি বলেন, পূর্বের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে তার ৭ বিঘা আমন ধানক্ষেতে জংগলমারা কিটনাশক প্রয়োগ করে ধ্বংস করেছে প্রতিপক্ষরা। এনিয়ে জামাল, মোজাফফর, আবুল কাসেম সহ ১৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এছাড়াও কৃষি অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দুষ্কতিকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মতিউররের স্বপ্ন ছিল ওই জমির ধান বিক্রি হবে। আর সেই টাকা থেকে ধার দেনা শোধ করার পর সংসারের ভরণ-পোষণ চালাবে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে ক্ষেত পুড়িয়ে দেওয়ায় তার সেই স্বপ্ন পুরণ হলো না। ফসল হারিয়ে তারা এখন নির্বাক।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, গ্যামোক্সিন নামের কীটনাশক আগাছানাশক বিষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দুর্বৃত্তরা সেটার অপব্যবহার করছে। তিনি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনায় এ কীটনাশক বিক্রির দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে তিনি অভিযোগ পেয়ে কৃষি অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেছি। তাতে আমার মনে হলো, এটা কোন রোগ কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেত্রের ফসল নষ্ট হয়নি। অতিরিক্ত বিষাক্ত বিষ প্রয়োগ করার কারণে ক্ষেতের ধান গাছ পুড়ে গেছে।
থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, ধানক্ষেত বিষাক্ত বিষ দিয়ে ফসল নষ্ট করার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।